প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণে জড়িতরা পেশাদার অপরাধী : ডিআইজি

ওমেনআই ডেস্ক : খাগড়াছড়িতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকেই পেশাদার অপরাধী। জামিনে মুক্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। রোববার সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন। গ্রেপ্তারকৃত ৭ জন এরই মধ্যেই ডাকাতি ও ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
অস্ত্র, মাদক, ধর্ষণসহ বিভিন্ন মামলায় জেলে ছিলেন এই ৭ জন। সেখানেই পরিচয়। এরপর জামিনে মুক্ত হয়ে সংগঠিত হয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তারা পরিকল্পিতভাবে খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার গোলাবাড়ি ইউনিয়নে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারীকে গণধর্ষন করে। পরে সেই বাড়ি থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়ে যায়। রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ।
আটককৃত ৭ জন হলেন মো.আমিন, বেলাল হোসেন, ইকবাল হোসেন, আব্দুল হালিম, শাহিন মিয়া, মো. অন্তর ও আব্দুর রশীদ। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃতরা। অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে শনিবার বিকেলে ২২ ধারায় নির্যাতিতা নারীর জবানবন্দি নিয়েছে আদালত। শনিবার রাতে ঘটনায় ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সাও জব্দ করেছে পুলিশ।
গত বুধবার দিবাগত গভীর রাতে জেলা শহরের গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন বলপেয়ে আদম এলাকায় একটি ঘরে সবাইকে বেঁধে ডাকাতিকালে প্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরদিন বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করে ধর্ষণের শিকার নারীর মা। এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ত্রিপুরা স্টুডেন্ট কাউন্সিল।
সি/২৭/৬.৫৮