মানবসেবায় সম্মাননা পেলেন নারী উদ্যোক্তা হেলেন

ওমেনঅাই: মানবসেবার জন্য সম্মাননা পেলেন নারী উদ্যোক্তা হেলেন; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যিনি সিস্টার হেলেন নামে পরিচিত।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ড. হামিদা হোসেনের কাছ থেকে শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘নারী কূল নির্যাতিত; ক্ষমতায়ণ অনেক দূর’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে সম্মাননা গ্রহণ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখওয়াত হোসেন, সমাজ বিজ্ঞানী হাবিবুর রহমান, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাপ্তাহিক কাগজ সম্পাদক জব্বার হোসেন।
সাম্পানের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো
অনুষ্ঠানে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ড. হামিদা হোসেন বলেন, ‘জীবনটা কষ্টের হয়- যখন একই সমাজে বৈষম্য ঘটতে থাকে। নারী এগোচ্ছে, কিন্তু কোথাও যেন একটা বাঁধা। সমঅধিকার নিশ্চিত না করতে পারলে ভালো কিছু আর হচ্ছে কোথায়! তবু শিক্ষিত নারী সমাজই বদলাবে সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট।’
সমাজ বিজ্ঞানী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় একজন সমাজ বিজ্ঞানী হিসাবে বলতে চাই, আমরা নারীদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারছি না। এখনো একপেশে সমাজ। এখান থেকে উত্তরণে পুরুষ শ্রেণীর উদারতা দরকার। এক কথায় এডুকেশন প্রয়োজন।’
সাংবাদিক নজরুল কবীর বলেন, ‘সমাজের শিক্ষিত মানুষগুলোকে এই জন্য সচেতনতামূলক উদ্যোগে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে হবে।’
সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি বলেছেন, ‘আমরা আয়োজন ভারো করেই সারতে পারি। কিন্তু ঘরে ফিরেই সব বড় উদ্যোগগুলো ভুলে যাই। বিবেক শ্রেণীকেই তাই দায়িত্ব নিতে হবে নারীর ক্ষমতায়নে।’
শিক্ষাবিদ হোসনে আরা ইদ্রিস বলেছেন, ‘যে ছেলে সন্তান তার মায়ের মূল্য দেই তারই উচিৎ হবে নিজের ঘরের স্ত্রীকে সম্মান দেয়া। তবেই নারীর অধিকার সমুন্নত হবে।’
আব্দুন নূর তুষার বলেন, ‘নারীকে মৌলিক ভাবনা করতে হবে। সমাবেশ করতে হবে। মুক্ত আন্দোলন করেই তাদের অধিকার ছিনিয়ে আনতে হবে।’
সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখওয়াত হোসেন বলেন, ‘মজার বিষয় হলো দেশের ক্ষমতায় থাকছেন দুই প্রভাবশালী নারী। কিন্তু তারাও পুরুষতান্ত্রিকতা থেকে বের হওয়ার আসল চিন্তা করেন নাই। সঙ্গত কারণেই নারীর ক্ষমতায়ন দূরে থেকে যাচ্ছে। আর সমাজে ঘটছে নারীকূলের উপর নির্যাতন।’
ঢাকা ২৪ আগস্ট (ওমেনআই)//এসএল//