আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসার চাহিদা বাড়ছে

ঢাবি প্রতিনিধি:বর্তমানে দেশে প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে আয়ুর্বেদিক ,ইউনানী এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে বলে বক্তারা মন্তব্য করেছেন। তারা আরো বলছেন, ধীরে ধীরে এ চিকিৎসা ব্যবস্থাগুলোর প্রতি মানুষের চাহিদা ও আস্থা বাড়ছে ।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতি ও সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনব্যাপী চতুর্থ আন্তর্জাতিক ‘আয়ুর্বেদ অ্যান্ড নেচারোপ্যাথি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (আইয়ুনস) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। আয়ুর্বেদ অ্যান্ড নেচারোপ্যাথি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ এবং হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ।
আইয়ুনস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. সমীর কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক এম ইকবাল আরসলান হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ডা. হাকিম মোহাম্মদ ইউসুফ হারুন ভুঁইয়া, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানভির আহমেদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিকাল টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক আবম ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিতেশ সিবাচার, হোমিও অ্যান্ড ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মনোয়ারা সুলতানা।
অধ্যাপক এম ইকবাল আরসলান বলেন, বর্তমানে সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে আবির্ভূত হয়েছে। প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে আয়ুর্বেদিক, ইউনানী ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি দেশে জনপ্রিয় হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে এ চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে।
ডা. হাকিম মোহাম্মদ ইউসুফ হারুন ভুঁইয়া বলেন, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা ব্যবস্থার ৫ হাজার বছরের এবং ইউনানি চিকিৎসার ৩ হাজার বছরের ঐতিহ্য থাকা সত্ত্বেও এ দুটি চিকিৎসা ব্যবস্থার আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি। তবে আশার কথা হলো ধীরে ধীরে এ চিকিৎসা ব্যবস্থাগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। এই বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির প্রসারের জন্য তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
ড. সিতেশ সিবাচর বলেন, ভারত, চীন ও জাপান সহ সারাবিশ্বে আজ বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে প্রসারিত হলেও বাংলাদেশে তা হচ্ছেনা। তিনি এই বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রসারের একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন।
অধ্যাপক আবম ফারুক বলেন, সার্বজনীন চিকিৎসা নিশ্চিত করতেনা পারলে দেশ খুব বেশি দূর এগোতে পারবেনা। এ সময় তিনি সার্বজনীন চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হলে সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সমন্বিত করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (মালোয়েশিয়া ক্যাম্পাস) ড. ক্রিস্টোফি উইয়ার্ট। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বিভিন বিষয়ে ১২টিরও বেশি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তর, নীতি নির্ধারক ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সম্মেলনে অংশ গ্রহন করেন।
ঢাকা, মার্চ ০৬ (ওমেনঅাই২৪ডটকম)//এসএল//
ছবি: সৌজন্যে এনটিভি