বীরভূমের গণধর্ষণ তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

ওমেন আই :
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূমে আদিবাসী এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট স্বত:প্রনোদিত হয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
ওই ঘটনায় গ্রেফতার ১৩জনকে আজ আবারও আদালতে হাজির করা হলে তাদেরকে পুলিশের হেফাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আদিবাসী ওই নারীর অবস্থা স্থিতিশীল।
বীরভূমের যে প্রত্যান্ত গ্রামে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে সেই গ্রামে গিয়ে দেখা গেল লোকজনের চোখেমুখে আতংক।
কারণ ধর্ষণের অভিযোগে এই গ্রামের ১৩ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
রাজারামপুর সুবলপুর আদিবাসী সমাজের প্রধান বলাই মাড্ডির বাড়ীর সামনে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ কর্মী। মূল বাড়ীর সামনে একটা ছোট খড়ের ঘর দড়ি দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয় এখানেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গ্রামের কেউই আজ প্রথমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলেন না।
সবাই বলছিলেন, তারা কিছু জানেন না, তারা কিছু দেখেন নি।
দুপুরের পর অবশ্য তারা ধীরে ধীরে মুখ খুলতে শুরু করলেন। কিন্তু সবার কথা একই। কোন গণধর্ষণের ঘটনা এই গ্রামে ঘটেনি।
তবে গ্রামবাসীরা সবাই স্বীকার করেছেন, কথিত অবৈধ সম্পর্কের কারণে এক মহিলা এবং এক পুরুষকে শাস্তি হিসেবে সারা রাত গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল।
সালিশী সভায় তাদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
গ্রামের মহিলারা বলছেন, তারা সারারাত ধরে এই দুজনকে পাহারা দিয়েছেন। সুতরাং তার মধ্যে গণধর্ষণের মতো কোন ঘটনার সুযোগ ছিল না।
তবে নির্যাতিতা আদিবাসী মহিলার ভাই সোম মুর্মু বলছেন, তিনি নিজে ঘটনার রাতে না থাকলেও পরিবার ও দিদির কাছে যা শুনেছেন, তাতে নিশ্চিত যে তার বোনকে নির্যাতন করা হয়েছে।
গণধর্ষণের ঘটনা গ্রামবাসীরা অস্বীকার করলেও নির্যাতিতা নারীর শারীরিক পরীক্ষা করেছেন যে চিকিৎসকরা তারা বলছেন, যৌন নির্যাতনের প্রাথমিক চিহ্ন তারা দেখেছেন তার শরীরে।