
ওমেনআই ডেস্ক : ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে শেখ হাসিনা বরাবরই বড় ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করেন। প্রণবের বাঙ্গালি স্ত্রীর সঙ্গেও হাসিনার মধুর সম্পর্ক ছিল৷ রাষ্ট্রপতি ভবনেই শেখ হাসিনা অতিথি হিসেবে রয়েছেন। সেখানেই নৈশভোজের আয়োজন ছিল। অতিথি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। খাবারের তালিকায় তাই বাঙালি ছোঁয়া। বাঙালি রসনার কথা মাথায় রেখে ছিল গন্ধরাজ লেবু দিয়ে ভেটকির পদ, মুরগির মাংস। নিরামিষাশী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য ছিল লুচি, বেগুনভাজা, পটলভাজা।
বাড়তি ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের হাতে রান্না ভাপা ইলিশ। শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাকা থেকে গেছেন ৬ জন রাঁধুনি। তারাই ইলিশের তিন রকমের পদ রাঁধেন। ভাপা ইলিশ রান্নায় হাত লাগান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের বহুল প্রচারিত টাইমস অব ইন্ডিয়ার বাংলা দৈনিক ‘এই সময়’ রোববার তাদের প্রিন্ট সংস্করণে এই খবর প্রকাশ করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গেছেন পদ্মার ইলিশ। সঙ্গে ছিল মমতার জন্য জামদানি শাড়ি ও প্রণবের জন্য ঢাকাই মসলিনের পাঞ্জাবি। সন্ধ্যায় দু’জনের হাতেই উপহার তুলে দিয়েছেন তিনি। মমতাও শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিয়েছেন রাধারমণ মল্লিকের মিষ্টি ও শাল। কী উপহার পেলেন? এ প্রশ্নের উত্তরে রহস্য রেখে মমতা বলেন, ‘গিফটের কথা কেউ বলে নাকি?’
শেখ হাসিনার সম্মানে দেওয়া মধ্যাহ্নভোজেও ছিল হরেক পদ। লুচি, ছোলার ডাল, পোলাও, পাবদা, ভেটকি, গলদা চিংড়ির মালাইকারি, মুরগির মাংস, মিষ্টি দই এবং রসগোল্লা। আর ছিল বাংলার প্রসিদ্ধ গন্ধরাজ লেবু। গন্ধরাজ লেবু শেখ হাসিনার খুব প্রিয়। দুপুরে একই টেবিলে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শেখ হাসিনা ও মমতা। সঙ্গে ছিলেন সুষমা স্বরাজ। একটু দূরে অন্য একটি টেবিলে বসেন তৃণমূল সাংসদ সুগত বসু, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই মমতাকে শেখ হাসিনার সঙ্গে একই টেবিলে বসান।
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সুগত বসুর বাবা শিশির বসুর। সেই সূ্ত্রে সুগত বসুর মা প্রাক্তন সাংসদ কৃষ্ণা বসুর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চান শেখ হাসিনা। ‘পদ্মানদীর মাঝি’র ‘কপিলা’ রূপার সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন শেখ হাসিনা।
২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় যখন বাংলাদেশ সফরে যান, তার জন্য পাঁচরকম রান্না হয়, মেনুতে অবশ্যই ছিল পদ্মার বিখ্যাত ইলিশ।