প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম ১০০ দিন

ওমেনআই ডেস্ক : আজ শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম ১০০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। তাকে বলা হয়েছে- ‘অতিথি প্রেসিডেন্ট’ কিংবা ৬৫ বছরের মধ্যে ‘সবচেয়ে কম জনপ্রিয়’ প্রেসিডেন্ট। ‘রাজনীতির ময়দানে আনাড়ি খেলোয়াড়’ কেমন কাটালেন এ সময়টি?
পাঁচ পরিবর্তন
১. এশিয়ায় পারমাণবিক উত্তেজনা উসকে দেওয়া
ট্রাম্পের শাসন বড় ধরনের নিরাপত্তার প্রশ্ন তৈরি করেছে এশিয়ায়। শপথের আগেই তাইওয়ান প্রসঙ্গে তার মন্তব্য চীনকে হতবাক করে। উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে ওবামা প্রশাসনের নীতি ছিল ‘কৌশলগত সহনশীলতা’ প্রদর্শন। কিন্তু ট্রাম্প সর্বশেষ বলেছেনÑ দেশটির সঙ্গে ‘বড় সংঘাতের শঙ্কা’ও রয়েছে।
২. রাশিয়ার সঙ্গে জটিলতা বৃদ্ধি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে একজন দ নেতা হিসেবে প্রশংসা করেছিলেন। তার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চান বলেও তখন জানিয়েছিলেন। রুশ সংযোগের সূত্র ধরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফিন আকস্মিক পদত্যাগ করেন। তখন ট্রাম্প বলেছিলেনÑ পুতিনের ওপর বিশ্বাস রাখতে চান তিনি। কিন্তু ‘তা হয়তো দীর্ঘস্থায়ী হবে না’। সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার ঘটনা ঘিরে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে।
৩. মুক্তবাণিজ্যে অনিশ্চয়তা
বহু দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র বাকি বিশ্বের সঙ্গে যেভাবে বাণিজ্য পরিচালনা করছে, তার সঙ্গে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি। তিনি কর্মহীনতার অজুহাতে বর্তমানে চলছে এমন অনেক বাণিজ্যচুক্তি বাতিল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি প্রথম-প্রথম কর্মদিবসেই ১২ জাতির বাণিজ্য জোট ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) বাতিল করেন।
৪. ন্যাটোতে অধিক মনোযোগ
আগে ন্যাটোর প্রতি সমালোচক মনোভাব ছিল ট্রাম্পের। তিনি এই সংগঠনকে সেকেলে বলেও আক্রমণ করেন। তবে পরে ট্রাম্প তার মনোভাব বদলে ফেলেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসের হুমকির প্রোপটে এই জোটের গুরুত্ব রয়েছে। ইরাকি ও আফগান শরিকদের আরও সহায়তা দেওয়ার জন্য জোটের সদস্যদের প্রতি আহ্বানও জানান।
৫. ইরানের পরমাণুচুক্তি নিয়ে সংশয়
ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধের বিনিময়ে অবরোধ তুলে নেওয়ার যে চুক্তি হয়েছিল, তাকে বারাক ওবামার প্রশাসন ‘ঐতিহাসিক বোঝাপড়া’ বলেই মূল্যায়ন করেছে। কিন্তু ট্রাম্প একে বলেছেন- আমার দেখা এ যাবতকালের সবচেয়ে বাজে কোনো চুক্তি। তিনি বলেন, এ চুক্তি ভেঙে ফেলা হবে তার প্রধান অগ্রাধিকার কাজের একটি। ষ সূত্র: বিবিসি।
সবচেয়ে বেশি মিটিং
জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহর
সঙ্গে, দুইবার।
সবচেয়ে বেশি ফোনকল
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে, ছয়বার।
সবচেয়ে বেশি টুইট
রাশিয়া ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে নিয়ে, ২৮ বার।