কারুশিল্পী আরতি দাস

ওমেন আই: দারিদ্র্যের যাঁতাকলে না পিষে কেউ যদি একটু সাহসের সাথে সামনে এগিয়ে যায়, তবেই এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। একজন গৃহিণী হস্তশিল্প দিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। স্বাবলম্বী হতে পারেন। সেখান থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে পরিবারের মূল শক্তি হয়ে উঠতে পারেন তিনি।
তেমনি একজন হচ্ছেন আরতি দাস। মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার খালিয়া কারুপল্লী গ্রামের বাসিন্দা তিনি। যার বয়স চল্লিশের কাছাকাছি।
স্বামী সুবাস দাস এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার আরতি দাসের। স্বামী অন্যের বাঁশ, বেত কারখানায় কারিগর হিসেবে কাজ করতেন। সেই অল্প রুজিরোজগারে তাদের সংসার চলতো। কিন্তু স্বামীর একার উপার্জনে সংসার এবং ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া কোনোটাই ভালোভাবে চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাই আরতি তার খুব অল্প মূলধন নিয়ে বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র বানানোর কাজ শুরু করেন।
একসময় এ নারী বাঁশের তৈরি কুলা, চালন, ডালা বানিয়ে আস্তে আস্তে স্বাবলম্বী হওয়ার দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন।
আরতি রানী দাস বলেন, “ প্রায় ১৫০ টাকার বাঁশ কিনলে ১০-১২টি খালই তৈরি করা যায়। যার এক একটার বাজারমূল্য ৫০ থেকে ৭০ টাকা।”
তিনি জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর জন্য অনেকেই তার বাড়ি থেকে এসব জিনিস কিনে নিয়ে যায়। আবার অনেক সময় দোকানদার এসে পাইকারি দরে একসঙ্গে অনেক কিনে নিয়ে যায়। গ্রামের নানা মেলায়ও তার নিজের তৈরি এসব সামগ্রী বিক্রি হয়।
ঢাকা ১৩ মে (ওমেন আই)//এলএইচ//