শিশুটির অলৌকিক ফিরে আসা

ওমেন আই:শিবচরের চরশ্যামাইল এলাকার আট বছর বয়সী রোজিনা আক্তার। একই এলাকার ইকবাল মুন্সির ঢাকার বাড়িতে কাজ করার জন্য সকালে ঢাকার উদ্দেশে পাঠান মা জরিনা বেগম। ঈদ শেষে ঢাকায় ফেরার সময় ইকবাল মুন্সি বাসার কাজের জন্য মেয়েটিকে নিয়ে লঞ্চে ওঠেন সকাল ৯টায়।
পদ্মায় লঞ্চডুবি শিশু রোজিনার অলৌকিক ফিরে আসা সকাল ১১টার দিকে লঞ্চটি ডুবে গেলে ইকবাল মুন্সি ও তার আড়াই বছর বয়সী শিশুকন্যা ইরাও পানিতে ডুবে যায়। এসময় ইরা তার বাবার গলা ধরে ভেসে ছিল। প্রায় পনেরো মিনিটি পানিতে ভেসে থাকার পর একটি স্পিডবোট গিয়ে ইকবাল মুন্সি ও তার মেয়েকে উদ্ধার করে। কিন্তু কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি রোজিনার। সবাই ভেবেছিল শিশুটি স্রোতে ভেসে গেছে। তার লাশটিও পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিল সবাই।
লঞ্চ ডুবে যাওয়ার চার ঘণ্টা পর পদ্মা নদীর অনেক ভাটিকে গিয়ে একটি শিশুকে ভাসতে দেখে উদ্ধারকারী দল। তাকে জীবিত উদ্ধার করে মাওয়া ঘাটে নিয়ে আসা হয়।
প্রচণ্ড স্রোত আর উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে একটি কাপড়ের ব্যাগ ধরে ভেসেছিল শিশুটি। এইটুকু অবলম্বন নিয়ে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে রোজিনা।
কাওড়াকান্দি ঘাটে এসে মাইকে ঘোষণা করলে ইকবাল মুন্সি শিশুটিকে শনাক্ত করেন।
উদ্ধারকৃত ইকবাল মুন্সির বরাত দিয়ে তার প্রতিবেশী ভাই মো. সাইদুজ্জামান নাসিম জানান, এ ঘটনায় শিশু রোজিনা মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ রয়েছে। তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঢাকা, আগস্ট (ওমেন আই)//এলএইচ/