দুই মন্ত্রণালয়ে গণজাগরণ মঞ্চের স্মারকলিপি

ওমেন আই:
পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি এবং দূতাবাসমুখী মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটার প্রতিবাদে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিনিধি দল।
মঞ্চের নেতা-কর্মীরা রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে এগোলে দোয়েল চত্বরের কাছে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
পরে পুলিশের পরামর্শে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান।
বাধা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সচিবালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে এতোজনকে একসঙ্গে না যেতে অনুরোধ করেছি মাত্র।”
ইমরান ছাড়াও এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মারুফ রসুল, শামিমা সুলতানা শাওন, আকরামুল হক শামিম এবং ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর মইন।
গত ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের চার দিনের মাথায় বিষয়টি নিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। পাকিস্তানের ওই পদক্ষেপের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় বাংলাদেশ। ঢাকায় পাকিস্তানের হাই কমিশনারকে তলব করে এর ব্যাখ্যা চায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা গণজাগরণ মঞ্চ গত ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর পাকিস্তান দূতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের সরিয়ে দেয়।
ওই ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবাদলিপি এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের ‘অযাচিত হস্তক্ষেপের’ প্রতিবাদে তারা ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিতের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতেই রোববার সচিবালয় অভিমুখে মিছিল বের করেন তারা।
পুলিশ দোয়েল চত্বরে বাধা দিলে মঞ্চের কর্মীরা ঘণ্টাখানেক সেখানে অবস্থান নিয়ে থাকেন। ফলে বেলা ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
পরে চলাচলের সুবিধার্থে দোয়েল চত্বর থেকে সরে গিয়ে শিশু অ্যাকাডেমির গেটের সামনে অবস্থান নেন মঞ্চের কর্মীরা। ইমরানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা না ফেরা পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করেন।