যে খাবার স্মৃতিশক্তি বাড়ায়

ওমেনআই: মস্তিষ্ক ভালো থাকলে সবকিছু ঠিকঠাক মতো চলে। প্রাণী দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে এই মস্তিষ্ক। কথা বলা, চলাফেরা থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজের নির্দেশ আসে এখান থেকে। এজন্য মস্তিষ্কের কর্ম দক্ষতা বাড়াতে বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য খাদ্যের তালিকাও প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। জেনে নিন এমনই কিছু খাবারের তালিকা-
স্যামন ও সামুদ্রিক মাছ : মানুষের মস্তিষ্কের ৬০ শতাংশ চর্বি দিয়ে তৈরি। তাই এটিকে সক্রিয় রাখতে প্রয়োজন ফ্যাটি অ্যাসিড। সামুদ্রিক মাছ- যেমন স্যামন, টুনা ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ মস্তিষ্কের খাবার হিসেবে বেশ উপকারী। কারণ এই খাবারগুলোতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদানটি আলজইমার রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
টমেটো : আমাদের দেশে একটি সহজলভ্য সবজি টমেটো। এই সবজি এখন বাংলাদেশে প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। এটি মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। টমেটোতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই উপাদানটি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচায়। এছাড়া স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে টমেটো।
ডার্ক চকোলেট : প্রতিদিন এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, অল্প পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আখরোট : মস্তিষ্কের জন্য আখরোট খুবই উপকারী। এতে বাদামের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি মস্তিষ্ককে যে কোনো রোগ থেকে রক্ষা করে।
গ্রিন টি : গ্রিন টি এখন বাংলাদেশের সর্বত্রই পাওয়া যায়। গবেষকরা বলছেন, গ্রিন টি মস্তিষ্কের সংযোগ ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া এটি পারকিনসনস ও স্মৃতিভ্রংশের হাত থেকে রক্ষা করে। চিনি ছাড়া দিনে তিন কাপ সবুজ চা মস্তিষ্কের জন্য ভীষণ উপকারী।
পালংশাক : পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। এই উপাদানটি মস্তিষ্কের সংযোগশক্তি বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টও রয়েছে। তাছাড়া পালংশাকের ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই ও ভিটামিন কে, যা স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে।
ঢাকা, ০২ নভেম্বর(ওমেনঅাই)/এসএল/