৭ জানুয়ারি ঐশীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য

ওমেনআই:পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার দায়ে তাদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমানসহ চার আসমির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি দিন রেখেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৩ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শাহেদ নূও উদ্দিন এ দিন ঠিক করেন।
মামলাটি এতদিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন ছিল কিন্তু গত ২১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মামলাটি ঢাকার ৩ নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানন্তর করা হয়। নতুন বিচারিক আদালত গত ৩০ নভেম্বও মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে নতুনভাবে চার্জ গঠন করেন।
এর আগে গত ৬ মে পুলিশ দম্পতির একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমান এবং ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান রনি ও মিজানুর রহমান জনিসহ মোট ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।
ওইদিন মামলার অন্যতম আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমী অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দায়রা আদালত অভিযোগ গঠন না করে মামলাটি কিশোর আদালতে পাঠিয়ে দেন।
গত ৯ মার্চ ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম বিকাশ কুমার সাহার আদালতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) পরিদর্শক আবুয়াল খায়ের মাতব্বর ঐশী ও গৃহকর্মী সুমিসহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে ঐশীকে খুনের প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি ঐশীর বন্ধু রনি ও জনীর বিরুদ্ধে হত্যায়
উস্কানীদাতা ও প্ররোচনকারী হিসেবে অভিযোগ আনা হয়েছে। পৃথক আর একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে গৃহকর্মী সুমীর বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডে সহযোগীতা করার অভিযোগ এনে কিশোর আদালতে বিচারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল।
মামলায় মোট ৪৪ জনকে সাক্ষী মানা হয়েছে। বর্তমানে ঐশী কাশিমপুর কারগারে ও গৃহকর্মী সুমী জামিনে আছে। গত বছরের ১৪ অগাস্ট পুলিশ দম্পতি মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না রহমান চামেলীবাগের নিজ বাসায় খুন হন।
১৬ অগাস্ট তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। ১৭ অগাস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান বাদি হয়ে পল্টন মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত দম্পতির একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমান ১৭ অগাস্ট রমনা থানায় আত্মসমর্পন করেন। ২৪ অগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিমের কাছে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দি দিয়ে মা বাবাকে খুন করার কথা স্বীকার করেন।
ঢাকা, ০১ জানুয়ারি (ওমেনঅাই)/এসএল/