শিল্পকলায় নন্দনমঞ্চের উদ্বোধন

ওমেনআই:শীতের সন্ধ্যায় আকাশে রঙিন আতশবাজির শব্দে প্রকম্পিত গোটা শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণ। একই সঙ্গে আকাশে একের পর এক ফানুসের ওড়াউড়ি। সব মিলিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমীর আকাশ যেন হয়ে উঠেছিল বর্ণিল।
সোমবার সন্ধ্যায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হল শিল্পকলার মাঠে স্থাপিত ‘নন্দনমঞ্চ’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশে নির্মিত এই মঞ্চটির উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি।
একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস এনডিসি।
‘নন্দনমঞ্চ’র উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথম দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমবেত ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করেন শিল্পকলা একাডেমীর প্রশিক্ষণ বিভাগের শিল্পীরা। এর পর মৃদঙ্গ, পাখোয়াজ, তবলা ও হারমোনিয়ামে মায়াবী সুরের মূর্ছনা সৃষ্টি করেন তালবাদ্যযন্ত্রের শিল্পীরা।
এই আয়োজনে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে ঢাকা সাংস্কৃতিক দল, নৃত্যালেখ্য ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীরা। এতে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন খায়রুল আনাম শাকিল, সুবীর নন্দী, কৃষ্ণকলি ও ফকির আলমগীর। আবৃত্তি পরিবেশন করেন মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল। মনোজ্ঞ এই আয়োজনে কাওয়ালী পরিবেশন করেন সমীর কাওয়ালী ও তার দল।
সবশেষে এ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শেষ হয় পানিবেষ্টিত নান্দনিক এই নন্দনমঞ্চের উদ্বোধনী আয়োজনের তিন দিনব্যাপী কার্যক্রমের প্রথম দিন।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জাতীয় নাট্যোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে শিল্পকলা একাডেমীর দক্ষিণ পাশে একটি পরিত্যক্ত পুকুর দেখতে পেয়ে একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীকে নান্দনিক কিছু একটা করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরই পরিপ্রেক্ষিত্রে গত মার্চ মাস থেকে নন্দনমঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নন্দনমঞ্চের নির্মাণ ব্যয় ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। মঞ্চটির চারপাশে রয়েছে ঝর্ণা, পানির নীচে রং-বেরংয়ের আধুনিক লাইট। মঞ্চ ও জলাধারকে ঘিরে করা হয়েছে এক থেকে দেড় হাজার দর্শকের বসার ব্যবস্থা।
ঢাকা, ১৩ জানুয়ারি (ওমেনঅাই)/এসএল/